বৃহঃস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আমেরিকার শিকোগোতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গভীরে ঘুমে তলিয়ে টলিউডের একঝাঁক তারকা। ছিলেন চঞ্চল চৌধুরীও। সকালের স্নিগ্ধ আলোয় ঘুম ভাঙার কথা থাকলেও রাত ভোরে বেরসিক অ্যালার্ম বেজে ওঠে কর্কশ শব্দে। এর অর্থ, “জায়গাটি নিরাপদ নয়। হোটেলের কোনো একটি কক্ষে আগুন লেগেছে। প্রাণ বাঁচাতে পালাও।”
হুড়মুড়িয়ে উঠে বসেন স্বস্তিকা, শ্রাবন্তী,চঞ্চলরা। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ান সবাই। লক্ষ্য একটাই। হোটেল থেকে বের হওয়া। অধিকাংশ শিল্পী রাতপোশাকে সিঁড়ি ভেঙে ছুটছিলেন নীচে। শঙ্কিত কণ্ঠে একটাই প্রশ্ন, “প্রাণে বাঁচব তো?”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সে দম আটকে আসা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন। অরিন্দম শীল বলেন, “ভালো করে চোখ মেলতে পারিনি। হঠাৎ অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে বসি। খাটে রাজ্যের জিনিসপত্র ছড়ানো। কিন্তু গোছাবে কে? আগে জিনিস না আগে প্রাণ?”
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সবাই হইহই করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামলাম। প্রত্যেকে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সকলের একটাই চিন্তা, যে করে হোক প্রাণে বাঁচতে হবে।” শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে চঞ্চল চৌধুরী- প্রাণ বাঁচানোর দৌড়ে শামিল সকলে। ছিলেন হোটেলের বাকি বোর্ডারেরাও।
তবে অরিন্দম জানান, সবাই এখন নিরাপদে রয়েছেন। ফায়ার অ্যালার্ম বাজতেই নিয়ম মেনে সিঁড়ি বেয়ে এক্সিট নেন তাঁরা। মিনিটের মধ্যেই হাজির দমকল। সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে।
আমেরিকার শিকাগোতে হয়ে গেল নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সের আয়োজনে ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠান। সেখানে যোগ দিতেই শিকাগোতে উড়ে গিয়েছিলেন টলি তারকারা। সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ হলেও ভোর রাতের অগ্নিকাণ্ড হাড় হিম করে দিয়েছিল সবার।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)