শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে আবারও আলোচনায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার (১০ জুলাই) জ্যাকুলিনকে সকাল ১১টায় ইডির সদর দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ইডি দিল্লি হাইকোর্টে বলেছিল যে জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ আসলে সুকেশের জালিয়াতির বিষয়ে সমস্ত কিছু জানতেন। শীঘ্রই জ্যাকুলিনকে তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ইডির অভিযোগ, সুকেশ চন্দ্রশেখর তার অপরাধ মূলক কাজ থেকে আয় করা অবৈধ অর্থ জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ জন্য উপহার কিনতে ব্যবহার করেছেন। জ্যাকুলিন চন্দ্রশেখরের ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকার কথা জানতেন। সুকেশ যে বিবাহিত ছিলেন জ্যাকুলিন সেকথাও জানতেন। তবু অভিনেত্রী সে বিষয়গুলো উপেক্ষা করে সুকেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি আদালতকে জানিয়েছিল ‘জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ কখনও সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করে গিয়েছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটাও ঠিক যে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছেন। যার অর্থ প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তার সহকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।
এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি হলফনামায় আরও জানিয়েছিল,জ্যাকুলিন সুকেশের থেকে শুধু ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যা তার ভাই ও বোনের সেখানেও এক লক্ষ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭০৪ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ এই মামলায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। জ্যাকুলিন জানিয়েছিলেন, এর সঙ্গে তার কোনও রকম যোগসূত্র নেই। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন জ্যাকুলিন। এর বাইরে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় জ্যাকুলিনের নামও উঠে এসেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)