শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সুমন রঙ্গনাথন, বর্তমানে যারা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন তাদের জন্য কোনো পরিচিত নাম নয়। তবে বলিউডে একসময়ে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
যার ব্যক্তিজীবন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। সুমনকে সবশেষ দেখা গেছে ‘গুমনাম-দ্য মিস্ট্রি’তে। প্রেক্ষাগৃহে যেই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০০৮ সালে। এপরই রীতিমতো হারিয়ে যান অভিনেত্রী।
সুমন এখন আলোকবৃত্ত থেকে দূরে থাকেন। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে যদিও তিনি বেশ সক্রিয়। ১৯৯৬ সালের ‘ফারেব’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ সুমনের। বিক্রম ভাট পরিচালিত এই ছবিতে ফারাজ খান এবং সুমন ছিলেন প্রধান ভূমিকায়। ছবিটি বক্স অফিসে বেশ সফল হয়।
প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে অনেক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সুমন। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ঋষি কাপুরের ‘আ আব লউট চলে’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই সিনেমায় অক্ষয় খান্না, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং রাজেশ খান্নার মতো তারকাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সুমনের অভিনয় দর্শকদের মনে ধরেছিল। ‘হম তুমহারে হ্যায় সনম’ ছবিতে শাহরুখ খানের বোনের ভূমিকাতেও দেখা যায় তাকে।
২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বাগবন’ ছবিতেও দেখা যায় সুমনকে। তবে নায়িকা হিসাবে সাফল্য পাননি তিনি। বলিউডের বেশিরভাগ ছবিতেই কাজ করেছেন পার্শ্বচরিত্রে।
ব্যক্তিজীবনও সুখকর ছিল না এই অভিনেত্রীর। সুখের খোঁজে তিনবার বিয়ে করেছেন। সুমনের প্রথম বিয়ে হয়েছিল মডেল গৌতম কাপুরের সঙ্গে।
প্রথম সংসার ভাঙার পরে পরিচালক বান্টি ওয়ালিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। সেই সংসারও সুখের হয়নি। ২০০৭ সালেই বিচ্ছেদ হয় এই জুটির। বান্টির থেকে আলাদা হওয়ার পর ব্যবসায়ী সাজন চিন্নাপ্পাকে বিয়ে করেন সুমন।
কিন্তু সেই সম্পর্কও তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের সময় স্ত্রী সুমনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন বান্টি।
যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, পাতানো ভাই এবং জিম প্রশিক্ষকের সঙ্গে সুমনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তৃতীয়বারের মতোও ভেঙে যায অভিনেত্রীর সংসার।
এরপর অভিনেতা রাহুল রায়ের সঙ্গেও সুমনের নাম জড়িয়েছিল। তারা নাকি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)