বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের তিন চিকিৎসক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৪০তম এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাকাডেমি অব অফথালমোলজি কংগ্রেসে তাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটির ৮৩তম বার্ষিক সম্মেলন।
এই কংগ্রেসে 'সেরা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পুরস্কার' লাভ করেন বিএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী ও রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা. সালমান আহমেদ তাহের হামিদ। তাদের গবেষণাপত্র ছিল দেশের চক্ষু চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু নিয়ে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ডা. তারিক রেজা আলীর গবেষণাপত্রে ডায়াবেটিক কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং অপ্রভাবিত রোগীদের চোখে বেভাসিজুম্যাব ইনজেকশনের প্রভাব ও কিডনির কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা হয়। অন্যদিকে ডা. সালমান আহমেদ তাহের হামিদের প্রবন্ধে বাংলাদেশের চারটি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কর্মক্ষেত্র-সম্পর্কিত ও অ-সম্পর্কিত চোখের আঘাতের ধরণ, ঝুঁকির কারণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা উপস্থাপন করা হয়।
অন্যদিকে, বিএমইউর আরেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামস মোহাম্মদ নোমান পেয়েছেন ‘বিশিষ্ট সেবাপদক’ ও ‘বৈজ্ঞানিক অর্জন পদক’। তিনি কংগ্রেসে গ্লুকোমা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও উপস্থাপন করেন, যা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেওয়া হয় গত ৫ এপ্রিল, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে। এতে অংশ নেন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সম্মাননা নিয়ে দেশে আসার পর তাদেরকে গবেষণাক্ষেত্রে এই অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানান বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. শামীম আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ, উপাচার্যের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, বিএমইউর চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন—এটা আমাদের জন্য গর্বের। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণা, উদ্ভাবন ও চিকিৎসা সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এই অর্জন দেশের চক্ষু চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার গুণগতমান এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের দক্ষতা ও সক্ষমতা দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য আশাব্যঞ্জক।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)