মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২


সরকারি ৫০, বেসরকারিতে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা

ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করলো সরকার

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত:৩০ জুন ২০২৫, ২১:১৮

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের সময়ে রোগী ও তাদের পরিবার যাতে অত্যধিক খরচে না পড়ে, সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করেছে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর মূল পরীক্ষা (এনএসওয়ান, আইজিজি ও আইজিএম) করানোর জন্য নির্ধারিত মূল্য রাখা হয়েছে ৫০ টাকা, যা গতবছরের অর্ধেক। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একই পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা। এছাড়া সিবিসি পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক অফিসিয়াল নির্দেশনায় এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফি নীতিমালা কার্যকর থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য প্রধান পরীক্ষাগুলো হলো এনএসই, আইজিজি ও আইজিএম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ফি নিতে পারবে, তবে এর বেশি নেওয়া যাবে না। এছাড়া সিবিসি পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।

তবে সরকারি হাসপাতালে এনএসওয়ান, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা আগের ১০০ টাকার চেয়ে অর্ধেক কম মূল্যে করানো যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর আগে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত মূল্যের বেশি ফি নেওয়া যাবে না। যদি কোথাও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একইসঙ্গে আরেক নির্দশনায় দেশে চলমান ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের সময় যেকোনো জ্বর বা ডেঙ্গুর সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করানোর প্রতি সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গুনিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এ ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক উদ্যোগ রোগীদের আর্থিক বোঝা কমানো এবং ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো বড় শহরসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় দ্রুত ও সাশ্রয়ী মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই পদক্ষেপে রোগীদের সুরক্ষা ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা ও প্রতিশ্রুতি প্রকাশ পেয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৪৮ ভোর
যোহর ১২:০২ দুপুর
আছর ০৪:৪২ বিকেল
মাগরিব ০৬:৫৩ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৭ রাত

মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫