শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
করোনাভাইরাসের নতুম ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়ায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তবে এই ভ্যারিয়েন্টে প্রাণহানির শঙ্কা কম। একইসঙ্গে দেশে ব্যবহৃত টিকাই সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু এতে প্রাণহানির শঙ্কা কম। এই ভ্যারিয়েন্টের প্রতিরোধে আমাদের যে ভ্যাকসিন আছে, সেটা কার্যকরী এবং এটা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বাতাসে যে পরিমাণ ধুলা-বালি, ময়লা আছে তা খুব একটা সুখকর নয়। আমরা মাস্ক পরতে বলছি। সাধারণ অবস্থাতেই আমরা মাস্ক পরতে বলি। এ অবস্থাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলছি। আমরা ফ্রন্ট লাইনে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আমাদের কাছে টিকা আছে। তাদের টিকা নিয়ে নিতে বলেছি।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন সেদিন বলেন, পাঁচজনের কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো হিস্ট্রি নেই। তারা দেশেই ছিলেন। প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।
কিছুদিন আগে নতুন এই উপধরনটির কথা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, নতুন এই উপধরন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আছে। তবে এতে রোগের লক্ষণে তীব্রতা কম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। সারাবিশ্বে তাণ্ডব চালানো ভাইরাসটির নানা ধরন ও উপধরন মানুষকে আক্রান্ত করে। একটির চেয়ে আরেকটি এসেছে বেশি শক্তি নিয়ে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে আসে। স্বল্পসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় মানুষ করোনার কথা প্রায় ভুলতে বসেছে। তবে হঠাৎ করে কোভিড-১৯–এর জেএন.১ নামে এক উপধরন আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া করোনার জেএন.১ উপধরনটি ইতোমধ্যে অর্ধশতর মতো দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনার এই ধরনটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন ছিল বিএ২.৮৬ নামে একটি ধরন। আর সেখান থেকেই এসেছে জেএন.১ উপধরনটি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)