শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাজা ভূখণ্ড থেকে চলে যাওয়ার জন্য সেখানকার ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের চাপ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের শিয়া হুথি বাহিনীর ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে বিক্ষিপ্ত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গাজার সংঘাত অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে না দেওয়ার কথাও বলেছেন।
ব্লিনকেনের সফর ও এই সতর্কতার মধ্যেই সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলায় সোমবার হিজবুল্লাহর একজন কমান্ডার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামাস-ইসরায়েল সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের আরো বড় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেখানে সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। খবর বিবিসির
গত অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে তিনি চতুর্থবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন। রোববার কাতারে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজার ফিলিস্তিনিদের সেখানেই থাকার অধিকারের বিষয়টি জোর দিয়ে বলেন। ইসরায়েলের কয়েকজন অতি ডানপন্থী মন্ত্রী সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলার কারণে ব্লিঙ্কেন এই প্রতিক্রিয়া জানান।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সৌদি যুবরাজ।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ২৪৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫১০ জনের বেশি। গাজার কেন্দ্রস্থল দের এল বালায় চালু থাকা একমাত্র হাসপাতাল আল আকসার চারপাশে রাতে ভারী গোলাবর্ষণ ও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ। হামলায় ৯ হাজার ৬০০ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছিলেন, গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশু নিহত হচ্ছে।
এদিকে সোমবার রাতে গাজা থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধের ৯৪তম দিনে গাজা থেকে রকেট বৃষ্টি শুরু হলে তেল আবিব ও এর দক্ষিণের প্রায় ৩০টি শহরে একযোগে সাইরেনের শব্দ বেজে ওঠে। এসব শহরের অধিবাসীরা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পালাতে থাকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েল এ হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)