রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধ দর্শন সিংহ ব্রারকে। চারদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলার পর চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন দর্শনকে। অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতাল থেকে দর্শনের দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঘটে এক অবাস্তব কাণ্ড।
রাস্তার গর্তে ধাক্কা খাওয়ার পর হঠাৎ প্রাণ ফিরে এল দর্শনের ‘মৃতদেহে’। সঙ্গে সঙ্গে আবার শ্মশানের পথ থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান দর্শনের পরিবারের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের হরিয়ানায় ঘটনাটি ঘটে। হরিয়ানার কার্নাল জেলার নিসিং শহরের বাসিন্দা দর্শন। খবর আনন্দবাজারের
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দর্শনের নাতি বলবন সিংহ জানান, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ বোধ করায় দর্শনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চার দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় দর্শনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ছিল দর্শনের গ্রামের বাড়ি।
বলবন জানান, সেই গ্রামের শ্মশানেই শেষকৃত্যের জন্য দর্শনের ‘মৃতদেহ’ নিয়ে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। অ্যাম্বুল্যান্সে করে গ্রামে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি ছোট গর্তে পড়ে গাড়িটি।
সাক্ষাৎকারে বলবন বলেন, ‘অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর আমরা কয়েকজন বসেছিলাম। ধাক্কা লাগার পর হঠাৎ দেখি দাদুর হাত কেঁপে উঠল। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম দাদু এখনও বেঁচে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালের দিকে গেলাম। এ তো ঈশ্বরের কৃপা। না হলে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে কী ভাবে?’
বলবন আরও জানান যে, শেষকৃত্যের জন্য সব আয়োজন করে ফেলেছিলেন তারা। গ্রামে একটি তাঁবু খাটানো হয়েছিল। সেখানে গ্রামবাসীদের জন্য সামান্য খাবারের বন্দোবস্ত করেছিলেন তারা। এমনকি দেহ দাহ করার কাঠও আনিয়ে ফেলেছিলেন তারা। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন দর্শন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)