সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেওয়া ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কাতারসহ আরব দেশগুলো।
সেই সঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতি গাজা যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার জন্য দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার দ্রুত শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে কাতার। খবর আনাদোলুর।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি রোববার এ আহ্বান জানান।
এদিন রাজধানী দোহায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সব পক্ষকে গাজা যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে এবং আলোচনার দ্বিতীয় ধাপে দ্রুত প্রবেশ করতে হবে।
তিনি এ সময় ‘দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই’ বলেও জোর দেন।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ছয় সপ্তাহের চুক্তি কার্যকর হয়েছে এবং এখন পরবর্তী ধাপের আলোচনার অপেক্ষা চলছে। কাতারি প্রধানমন্ত্রী জানান, সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কিছু অগ্রগতি দেখতে পাবো। এদিকে ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে দ্বিতীয় ধাপের সিদ্ধান্ত নেবেন।
যে কারণে তিনি ইসরায়েলি আলোচক দলের কাতারে পাঠানো স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন সম্প্রতি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিল।কাতারের প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করে বলেন, ‘যেকোনো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি’।
কাতারের পাশাপাশি মিশর ও জর্ডানও ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযানে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭,৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ইসরাইল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)