শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও শত শত ফিলিস্তিনি।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গাজার ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২১০ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের ৭০ শতাংশই ফিলিস্তিনি নারী এবং শিশু।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৪০ ফিলিস্তিনি। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাসের যোদ্ধারা। একই সঙ্গে আরও প্রায় ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে তারা।
পরে ওই দিনই গাজা উপত্যকায় ব্মিান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। টানা তিন সপ্তাহের বিমান হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী উত্তর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজার মোট ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ৮৫ শতাংশই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। সেখানকার হাজার হাজার মানুষ উপকূলীয় এই উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।
সংস্থাটি বলছে, উপত্যকার প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ অনাহারে রয়েছে। অব্যাহত বোমাবর্ষণ আর ইসরায়েলের বিধিনিষেধের কারণে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তাও পৌঁছাতে পারছে না গাজায়।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক হামাস-ইসরায়েলের মাঝে নতুন যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে ওই অঞ্চলে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি (ব্রেট ম্যাকগার্ক) ওই অঞ্চলে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো আরেকটি জিম্মি চুক্তির সম্ভাবনা। এই চুক্তির জন্য চলমান যুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী মানবিক বিরতি প্রয়োজন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)