মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহিত
ভূরাজনীতি ও অর্থনীতিতে যতই অনিশ্চয়তা থাক না কেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমতির দিকে থাকবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের গড় মূল্য হতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার। ২০২৬ সালে তা কমে ব্যারেলে ৫৬ ডলারে নেমে যেতে পারে। খবর রয়টার্স।
তবে যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক বা দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মতো যেকোনো ঘটনা এই পূর্বাভাসে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও সতর্ক করেছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। এদিকে রাশিয়া ও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানি তেলের সরবরাহে চাপ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে গোল্ডম্যান স্যাকস জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি হতে পারে।
এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক ৫ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এর আগে দীর্ঘদিন তেলের দাম ধরে রাখতে তারা উৎপাদন কমিয়েছে। সেই ধারা থেকে তারা ফিরে আসার চিন্তা করছে। রাশিয়া থেকে সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কার কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। রোববার সংক্ষিপ্ত এক অনলাইন বৈঠকে ওপেকের সহযোগী আটটি সদস্যদেশ উত্তোলন বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়।
এ খবরে গতকাল আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। যদিও রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।
আন্তর্জাতিক ব্রোকার প্রতিষ্ঠান পিভিএমের বিশ্লেষক তামাশ ভার্গা বলেন, ‘ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের কারণে বাজারে জ্বালানি তেলের দামে চাপ তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ১৬ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল দৈনিক উত্তোলন হ্রাস প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে টানা দুই দিন বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে। আজ এই প্রতিবেদন লেখার সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৬৮ দশমিক ৬৫ ডলার। দাম কমেছে ব্যারেলপ্রতি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ। দাম হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬৬ দশমিক ১৭ ডলার।
চলতি বছর সামগ্রিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমতির দিকে। গত ৫ মে ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। চলতি বছর জ্বালানি তেলের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)