শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে এতে আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দেশটির কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর জিও নিউজ ও বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে।
খবরে বলা হয়েছে, শুধু খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিহত হয়েছে ২০০ জনের বেশি, গিলগিট বালতিস্তানে নিহত হয়েছে ১২ জন এবং আজাদ জম্মু এবং কাশ্মীরে নিহত হয়েছে ১৯ জন।
এ ছাড়া বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে দেশটির একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুজন পাইলটসহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন বলে খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, দেশব্যাপী মোটে ২৮ জন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৬টি বাড়ি- এরমধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং ১৪টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আজাদ কাশ্মীরে আংশিকভাবে ২৩টি এবং ২৮টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জিও নিউজ বলছে, বন্যায় বিভিন্ন বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও বহু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে গতকাল দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসির সহকর্মী জুবেইর খান জানাচ্ছেন, মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)