বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
দুই বছর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিস্ময় বালক কাইরান কাজী মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্সে প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।
রকেট সাইন্স নিয়ে তুমুল আগ্রহ থাকা কাইরান যখন স্পেসএক্সে যোগ দেন তখন মনে হয়েছিল রকেট সাইন্স সেক্টর যেন নতুন এক সম্পদকে পেলো। তবে দুই বছর যেতে না যেতেই এই ক্ষেত্র থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি।
কাইরান কাজী স্পেসএক্সের চাকরি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন সিটাডেল সিকিউরিটিসে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সিটাডেলে সিকিউরিটিস বিশ্ববাণিজ্যে এক পাওয়ার হাউজ।
কাইরান এখন রকেট সাইন্স বাদে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চান। যেখানে দ্রুত সময়ে ফলাফল পাবেন তিনি। এ কারণে বিশ্বখ্যাত স্পেসএক্স ছেড়েছেন এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিষ্ময় বালক।
কাইরান কাজী বলেছেন, “কোয়ান্ট ফিন্যান্স অন্যরকম কঠিন সমস্যা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো চিন্তার সুযোগ দেয়। কিন্তু এটি আরও দ্রুত গতিতে চলে। এটি অন্যতম একটি সম্মানজনক ইন্ডাস্ট্রি যেখানে আপনি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অথবা গণিতবিদ হিসেবে যেতে পারেন।”
জানা গেছে, কাইরান কাজীকে আরও অন্যান্য এআই ল্যাব ও প্রযুক্তি কোম্পানি চাকরির অফার করেছিল। তবে অন্যদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি সিটাডেল সিকিউরিটিসকে বেঁছে নিয়েছেন।
কাইরান বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল নতুন চ্যালেঞ্জ এবং আমার দক্ষতাকে ভিন্নরকম উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবেশে নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। সিটাডেল সিকিউরিটির এমন কিছুর সুযোগই আমাকে দিচ্ছিল। যা ছিল সম্পূর্ণ নতুন ডোমেইনে। যা আমার কাছে খুবই রোমাঞ্চকর।”
নতুন চাকরির সুবাদে কাইরান নিউইয়র্কে চলে এসেছেন। তিনি শহরটির ম্যানহাটনে থাকবেন।
স্পেসএক্সের প্রকৌশলী হিসেবে তিনি স্টারলিংক ডিভিশনে কাজ করেছেন। অত্যাধুনিক এই ডিভিশনে তিনি তার সফটওয়্যার কোডিং দক্ষতার মাধ্যমে স্টারলিংক স্পেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ককে সচল রাখতে অবদান রেখেছেন। স্যাটেলাইটের রশ্মিগুলোকে গাইড করার জন্য গঠিত দলের সদস্য ছিলেন কাজী, যা স্টারলিংক নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)