শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির পশ্চিম উপকূলে অত্যাধুনিক এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
অবশ্য বিমান বিধ্বস্ত হলেও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলে একটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট জানিয়েছে। এছাড়া পাইলটকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বাহিনীর এই ইউনিট।
ইউনিটটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮ম ফাইটার উইংয়ে নিযুক্ত একটি এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন সমুদ্রের ওপর ‘জরুরি পরিস্থিতির’ সম্মুখীন হয় এবং একপর্যায়ে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে বিমান বিধ্বস্ত হলেও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় তার জ্ঞান ছিল এবং শারীরিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য পরে তাকে একটি মেডিকেল অবকাঠামোতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অষ্টম ফাইটার উইংয়ের কমান্ডার কর্নেল ম্যাথিউ গেটকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা পাইলটকে খুঁজে বের করতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাথে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
কর্নেল ম্যাথিউ গেটকে বলেছেন, সমুদ্র থেকে বিমানটি খুঁজে বের করা এবং পুনরুদ্ধার করার দিকেই এখন তাদের মনোযোগ রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় আরেকটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সেসময়ও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং বিধ্বস্তের জেরে অন্য কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তারও আগে গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপের উপকূলে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। সিভি-২২ ওসপ্রে মডেলের সেই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬ মার্কিন সেনা নিহত হন।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন হচ্ছে সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র। পারমাণবিক ক্ষমতাশালী উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)