শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে তা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
সোমবার রাজধানী রোমে নিজের রাজনৈতিক দল ব্রাদার্স অব ইতালির এক কর্মসূচিতে জর্জিয়া বলেন, ‘হামাসের হামলার পর আমরা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছি— এটা সত্যি; তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় থেকে নিজের আত্মরক্ষা অধিকার চর্চা করতে হবে এবং বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, হামাস এবং ইসরায়েলের গত আড়াই মাসের যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় যে হারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হচ্ছেন, তা নাড়া দিয়েছে আন্তর্জতিক সম্প্রদায়কে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের মুষ্টিমেয় কয়েকজন মিত্র ব্যাতীত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধ ও টেকসই যুদ্ধবিরতির দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে।
তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান থামবে না।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১২ হাজারেরও অধিক।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।
এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ।
৭ দিনের অস্থায়ী বিরতির সময় নিজের কব্জায় আটক জিম্দিরে মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস; বিপরীতে এই সময়সীমায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)