বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে একই দিন প্রাণ গেছে আরও দুই সেনার।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৩০ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ থামানোর জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো আবারও নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের গাজার সর্বশেষ নিরাপদ স্থান রাফাহতে ঢুকে পড়ার একটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরমধ্যেই প্রাণ হারালেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার।
গতকাল সোমবার আরও তিন সেনার মৃত্যুর মাধ্যমে গাজায় দখলদারদের মৃত্যুর সংখ্যা ২৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল প্রাণ হারানো সেনারা হলেন— গাজা ডিভিশনের সাউদার্ন ব্রিগেডের ৬৩০তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্নেল নেতানিয়েল ইয়াকুব এলকোবি (৩৬)। মেজর (রিজার্ভ) ইয়ারির কোহেন (৩০) এবং সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস (রিজার্ভ) জিভ চেন (২৭)।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খান ইউনিসের একটি ভবনে এই সেনারা অবস্থান করছিলেন। তখন সেটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান তারা। বর্তমানে খান ইউনিসেই লড়াই চলছে।
এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে আবারও আলোচনা হবে। এই আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠাবে ইসরায়েল।
হামাসের হাতে এখনো ইসরায়েলের ১৩০জন জিম্মি আটকা রয়েছেন। সোমবার রাতে রাফাহ থেকে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা দুই জিম্মিকে মুক্ত করেন। কিন্তু তাদের মুক্ত করতে গিয়ে ১০০ সাধারণ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে তারা।
এরপরই বিশ্ববাসী আবারও নড়েচড়ে বসে। যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, রাফাহতে জিম্মিদের মুক্ত করতে যে অভিযান চালানো হয়েছে এতে তারা চিন্তিত।
ইসরায়েলি সেনারা প্রথম থেকেই দাবি করছে, তারা হামাসকে গাজা থেকে নির্মূল করছে। তবে এখনো হামাস যোদ্ধাদের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ছে তারা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)