শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমরা চূড়ান্ত রূপরেখা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ইসরায়েল তা মেনে নিলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।
হামাসের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের যুদ্ধবিরতির রূপরেখায় গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহারের দাবি রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল হামাসের রূপরেখা মোটামুটি মেনে নিয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তের কিছু দর কষাকষি চলছে।
গার্ডিয়ান, বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে। ইতোমধ্যে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন।
৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নভেম্বরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন দফায় সাতদিনের যুদ্ধবিরতি হয়। ১ ডিসেম্বর তা শেষ হয়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের অনমনীয় মনোভাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার তিন ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে। শর্তমতে হামাসের হাতে এখনও জিম্মি প্রায় ১৩০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে কয়েকগুণ বেশি ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেবে না ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি ৩০ হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭১ হাজার ৫৩৩ জন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)