শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার সেখানকার কম জনবহুল অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স (জিএফজেড) এই তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, তাইওয়ানের তাইতুং কাউন্টি থেকে ১৬.৫ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। খবর রয়টার্সের
খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের বৃহত্তর জনপদে সামান্য ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাছাড়া তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
একই দিনে লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, রোববার চিলির বায়ো-বায়ো অঞ্চনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৯ কিলোমিটার। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গাতেও ভূমিকম্প হওয়ার খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যানুসারে, রোববার টোঙ্গাতে ৫.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
এর আগে গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে চীনের গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ নিহত এবং আরও এক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
তাইওয়ানের মতো চীনও ভূমিকম্প প্রবণ। কেননা দেশটি বেশ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটে অবস্থিত। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ১৯২০ সালে গানসু প্রদেশে ২০ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানলে নিহত হয়েছিল দুই লাখের বেশি মানুষ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)