শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক থেকে ৫ বন্দিকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। নিহত ওই পাঁচজনই ইসরায়েলি এবং তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক ছিল।
এছাড়া নিহত এই পাঁচ বন্দির তিনজন ছিলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্য। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার একটি টানেল থেকে পাঁচ ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রোববার সন্ধ্যায় জানিয়েছে। এর আগে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডস জানিয়েছিল, পাঁচজন ইসরায়েলি বন্দিকে আটক রাখা একটি দলের সাথে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং ওই বন্দিরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া অঞ্চলে সুড়ঙ্গের একটি নেটওয়ার্ক উন্মোচন করেছে এবং সেখান থেকে পাঁচ ইসরায়েলি বন্দির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।’
কয়েকদিন আগে আল-কাসাম ব্রিগেডসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই পাঁচ বন্দির মধ্যে তিনজনকে দেখানো হয়েছে। সেই ভিডিওতে বন্দিরা তাদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
মৃত অবস্থায় উদ্ধার এই পাঁচ বন্দির তিনজন সেনাসদস্য ও দুজন বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে তাদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল হাগারি।
হাগারি বলেছেন: ‘সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চায়। শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যেই সেখানে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।’
তবে এই কাজে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় লাগতে পারে’ বলেও জানান তিনি। গাজা উপত্যকায় স্থল আক্রমণকে ‘জটিল’ হিসাবে বর্ণনা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র বলেন: ‘আমাদের পক্ষে হতাহতের ঘটনা ছাড়া হামাসকে ধ্বংস করা অসম্ভব।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৩৬ জন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)