শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার নির্বাচনের মধ্যে ইতোমধ্যেই ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মধ্যেই ফুরিয়ে আসছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ।
এই অবস্থায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন কেজরিওয়াল। সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১ জুন পর্যন্ত আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই হিসেবে জামিন শেষে আগামী ২ জুনই কেজরিওয়ালকে আবার জেলে ফিরতে হবে। তার আগেই সোমবার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করলেন কেজরিওয়াল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন কেজরিওয়াল। সাতদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন তিনি। মূলত শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন তিনি।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তার একাধিক মেডিকেল টেস্টের প্রয়োজন। পিইটি স্ক্যান, সিটি স্ক্যান করাতে হবে।
দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলে থাকাকালীন ৭ কেজি ওজন কমে গেছে তার। কেটোন লেভেলও বেড়ে গেছে। এর জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শেই আরও কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর লিগাল কাউন্সিলের পক্ষ্য থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, কেজরিওয়ালের সুস্থতার জন্য এই পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুন কেজরিওয়ালের জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর ২ জুন তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর সেখান থেকে তাকে ফিরে যেতে হবে জেলে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে তাকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে।
তবে ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার আইনজীবীদের দাবি ছিল, নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরিকে আটকাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে।
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই গত ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)