রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে আরও ৩০ বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিনে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে তাদের হাতে জিম্মি আরও ১০ ইসরায়েলিকে। এছাড়া দুই বিদেশি নাগরিককেও মুক্ত করে দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩০ জন নারী ও শিশু। খবর আল জাজিরার।
এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধ বিরতিতে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে অর্ধশতাধিক ইসরায়েলিকে। ফিলিস্তিনিরা আশা প্রকাশ করে যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি বড় অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতাল ঘেরাও করেছে এবং মেডিকেল টিমের কাজ অবরুদ্ধ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়। হামলার দিন হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার পর ওইদিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তাদের অবিরাম হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়। এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে সেখানে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রবেশ করে।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা ৪৮ দিন হামলার পর কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল।
গত শুক্রবার শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। পরে কাতারের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়াতে রাজি হয়। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ।
যুদ্ধবিরতির এই সময়ে প্রতিদিন দুই পক্ষ তাদের হাতে বন্দি অনেক জিম্মিকে ছেড়ে দেয়। সর্বশেষ দুই পক্ষে ৪২ জিম্মি মুক্ত হলো।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)