রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভারতের কাশ্মীরে বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হয়েছিল একটি বাছুরের। সেই ‘অপরাধে’ বাস চালককে তার আসন থেকে টেনে নামিয়ে বেদম মারল স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের একটি দল।
কাঠের মোটা লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটানো হয়েছে তাকে। ঘটনায় গুরুতর আহত ওই বাসচালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায়। বছর কয়েক আগে যে কাঠুয়ায় আট বছরের এক মুসলিম শিশুকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ৭ জনের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি সেই পুরনো কথাই মনে পড়িয়ে দিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। ওই স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের শাস্তি চেয়ে পথে নেমেছেন এলাকার মানুষ।
তাদের অভিযোগ, দরকার হলে ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারতেন ওই ‘গোরক্ষকে’রা। তা না করে আইন কেন হাতে তুলে নিলেন?
পুলিশের কাছে তাদের দাবি, ওই ধরনের হামলা ভবিষ্যতে যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
জম্মুর কাঠুয়া জেলায় হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই বাস। পুলিশ জানায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ এলাকায় নিজেদের ‘গোরক্ষক’ বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ান। রবীন্দ্র সিংহ নামে এক ব্যক্তি তাদের নেতা। মঙ্গলবার ( ২ জুলাই) রাতে তার নেতৃত্বেই ওই স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’রা কাঠুয়ার ঘাটি এলাকায় হামলা চালান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বাসচালক হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েও পার পাননি। রবীন্দ্র এবং তার সঙ্গীরা ওই বাসচালককে ‘নৃশংস ভাবে’ মারধর করেন। তার পরে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে রেখে চলে যান।
ভারতে সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের হাতে হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। দু’দিন আগেও হরিয়ানার কাছে দুই লেবু ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল একদল এমন স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের বিরুদ্ধে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)