শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাথাপিছু খাদ্য সহায়তাবাবদ অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আগে যেখানে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা বাবদ প্রতি মাসে ৮ ডলার করে প্রদান করা হতো, এখন থেকে সেখানে দেওয়া হবে ১০ ডলার করে।
অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু খাদ্য সহায়তা বাড়ছে ২ ডলার। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই সহায়তা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক প্রকল্প ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।
তহবিল সংকটের কারণে গত বছর বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা বাজেট কাটছাঁট করে ৮ ডলারে নামিয়ে এনেছিল জাতিসংঘ; কিন্তু এর ফলে রোহিঙ্গাদের পুষ্টি সংকট বাড়তে থাকায় সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ শাখার পরিচালক ডোম স্ক্যালপেলি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অর্থ সহায়তা প্রদানকারী দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘শিবিরগুলোতে অপুষ্টি পরিস্থিতি দিন দিন যে হারে বাড়ছিল, তা সত্যিই উদ্বেগজনক ছিল। দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আমরা তাদের খাদ্যসহায়তা বাড়াতে পেরেছি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছিল ডব্লিউএফপিএ। সেই জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সাল, অর্থাৎ যে বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল এই রোহিঙ্গারা— সেই তুলনায় ২০২৩ সালে শিবিরগুলোতে অপুষ্টিতে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
কক্সববাজারে বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী সহায়তা ও পুনর্বাসন দপ্তরের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আপাতত সহায়তার পরিমাণ মাথাপিছু ১০ ডলার করা হলেও শিগগিরই তা ১২ দশমিক ৫০ ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে ডব্লিউএফপি’র।
‘গত বছর খাদ্য সহায়তা কাটছাঁটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে শিশুরা। মূলত তারপরই খাদ্য সহায়তার অর্থ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডব্লিউএফপি মাথাপিছু খাদ্য সহতায়তার বাড়ানোর এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে চলতি বছরই তা এই অর্থ আরও বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৫০ ডলারে উন্নীত করা হবে,’ রয়টার্সকে বলেন মিজানুর রহমান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)