বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইউক্রেনের পোলাতাভার একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৪১ জন নিহত এবং প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে স্বল্পপাল্লার দুটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র।
ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের সতকর্তামূলক সাইরেন বেজে উঠার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানে। এতে করে সেখানকার মানুষ বোমা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার সময় পাননি।
রাশিয়ার কয়েকজন যুদ্ধ ব্লগার টেলিগ্রামে জানিয়েছে, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তারা সেনাবাহিনীর ক্যাডেট।
রায়বার নামের একটি চ্যানেলে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন ইউক্রেনের ‘যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ’ নবীন সেনারা।
রায়বারে আরও বলা হয়েছে, এসব সেনার শূন্যস্থান দ্রুতই পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের দীর্ঘসময় প্রশিক্ষণ দিতে হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভবন ধসে পড়ে সেগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, “অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ১৮০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানতে পেরেছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পুরো ইউক্রেনে যুদ্ধ চললেও পোলতোভা অনেকটাই শান্ত ছিল। এখানে এত বড় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে সাধারণ মানুষের এ নিয়ে ধারণা কম ছিল। পোলতোভায় হামলার পর রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলা নিয়ে বেশ কিছু অসমর্থিত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন হামলার সময় সেখানে সেনাদের প্যারেড হচ্ছিল।
সূত্র: বিবিবি, সিএনএন
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)