রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অবৈধ অভিবাসন উচ্চহারে কমে যাওয়ায় মেক্সিকোর সাথে চারটি সীমান্ত ক্রসিং আবারও চালু করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের এই চার সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করা হবে বলে মঙ্গলবার মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাসের ঈগল পাসের একটি আন্তর্জাতিক সেতু, অ্যারিজোনার দুটি ক্রসিং এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোর কাছের আরেকটি সেতুতে পুনরায় কাজ শুরু করবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী সীমান্ত নিরাপত্তায় সিবিপির অগ্রাধিকার অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের ঢল মোকাবিলায় ব্যাপক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। কারণ ওই সময় একদিনে প্রায় ১১ হাজার অভিবাসী সীমান্তে পৌঁছায়। দেশটির সাবেক ও বর্তমান অনেক কর্মকর্তা তখন বলেছিলেন, সীমান্তে অভিবাসীদের এই ঢল রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি পৌঁছেছিল।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক তহবিল সরবরাহসহ বিদেশি সহায়তার পাশাপাশি বর্ধিত সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থাকে সমন্বিত করার সম্ভাব্য এক চুক্তির বিষয়ে আইনপ্রণেতারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কংগ্রেস সদস্যদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমাদের কিছু করতে হবে। সীমান্ত রক্ষার জন্য আমার যে অর্থ দরকার তা তাদের দেওয়া উচিত।’’
মেক্সিকান ও মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে উভয় দেশের যৌথ সীমান্তে রেকর্ড অভিবাসন মোকাবিলায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোরের সাথে সাক্ষাতের সময় এই অঙ্গীকার করেন তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেক্সিকো সীমান্ত ক্রসিংগুলো পুনরায় চালু করায় অনেকে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়ে আসছে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির এই মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করার এই সিদ্ধান্ত উভয় দেশের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে।
মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। যা ক্রিসমাসের আগের তুলনায় অনেক কম।
তবে মার্কিন এক কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ে অভিবাসীদের ঢল ঐতিহাসিকভাবে ক্রিসমাস এবং নববর্ষ দিবসের কারণে কমে গেছে। তিনি বলেন, আমরা গত বছরও একই সময়ে অভিবাসীদের সীমান্তে উপস্থিতি কমে যাওয়ার চিত্র দেখেছি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)