শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চারদিক থেকে বন্ধ রয়েছে গাজা। সেখানে ইসরায়েল ও মিশরের অনুমতি নিয়ে ত্রাণ প্রবেশ করেছে। যদিও সেই পরিমাণ খুবই সামান্য। এই কারণে আকাশ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলেছে ফ্রান্স ও জর্ডান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে শুক্রবার বলেছেন যে, ফ্রান্স ও জর্ডান গাজা উপত্যকায় সাত টন মানবিক সাহায্য ফেলেছে। অবরুদ্ধ ছিটমহলে মানবিক পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক। খবর আনাদুলু এজেন্সির
ফরাসী প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'একটি কঠিন প্রেক্ষাপটে, ফ্রান্স এবং জর্ডান বিমানের মাধ্যমে গাজায় সহায়তা ফেলেছে।'
এলিসি প্রাসাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুটি সামরিক পরিবহন বিমান (একটি ফরাসি, একটি জর্ডানিয়ান) দিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিরতীহীন বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত সেখানে ২২ হাজার ৬০০ জন নিহত এবং ৫৭ হাজার ৯১০ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলার ফলে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্লিঙ্কেন শুক্রবার ইসরায়েল সফর করেছেন।
এক ভিডিওবার্তায় হানিয়াহ বলেন, 'আমরা আশা করি যে, ব্লিঙ্কেন গত তিন মাসে শিখেছেন এবং ইসরায়েলিকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভুলের মাত্রা বুঝতে পেরেছেন। আশা করি যে তিনি আগ্রাসনের অবসানে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখলের অবসানের দিকে মনোনিবেশ করবেন।
ব্লিঙ্কেন শুক্রবার সন্ধ্যায় তুরস্ক থেকে তার আঞ্চলিক সফর শুরু করেন। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রিস, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইসরায়েল, মিশর এবং পশ্চিম তীর সফর করবেন তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)