শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। রোববার রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু, সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভার সব সদস্য ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার প্রস্তাব সমর্থন করেছেন।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩। ইসরায়েলের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গুঞ্জন চলছে যে গত ১৯ অক্টোবর তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বাসভবনে যে ড্রোন হামলা হয়েছিল, তার জবাব দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক মন্ত্রী বলেছেন ওই হামলার সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিন্তু সেক্ষেত্রে কী কারনে ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে— সে সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মনে করেন, সাম্প্রতিক হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়ে জবাব দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।
গত ২৬ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েলে সংক্ষিপ্ত ও সীমিত মাত্রার হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া সেই অভিযানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির করখানা ও মজুতে গোলা বর্ষণ করেছিল ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এ অভিযানে ইরানের দুই জন সদস্য নিহতও হয়েছিলেন।
রোববার এক বক্তব্যে খোমেনি বলেন, “ইসরায়েলের হামলাকে আমরা অতিরঞ্জিত করছি না, আবার তুচ্ছও করছি না। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থে এই হামলার জবাব আমাদের দিতে হবে। কীভাবে তা দেওয়া হবে— তা সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন।”
একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই বলেন, “আমাদের কাছে যা যা আছে, তাই দিয়ে আমরা জায়নবাদীদের হামলার জবাব দেবো।”
খামেনি এবং ইসমাইল বাঘেই’র মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)