রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আপিল বিভাগের দুই বিচারকের অপসারণ দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করা বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির দিন পিছিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ১৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
আদালত অবমাননার মামলায় আজ আদালতে হাজিরা দেন ৭ আইনজীবী। পরে বাদীপক্ষ সময় চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি মামলা না করতে চান তাহলে প্রত্যাহার করে নেন। তখন আইনজীবী বলেন, আমাদের সিনিয়রের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে আজকে শুনানি করতে চাই না। প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকে না হলে আগামী সপ্তাহে লিস্টে আসবে। পরে শুনানির জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য থাকলেও প্রধান বিচারপতি উপস্থিত না থাকায় সেই তারিখ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
তারও আগে গত ১৫ জানুয়ারি অভিযোগের বিষয়ে শুনানির তারিখ ছিল। সেদিনও সময় পিছিয়ে ২৯ জানুয়ারি তারিখ ঠিক করা হয়েছিল।
সাত আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারকের অপসারণ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থী এই সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
গত ১৫ নভেম্বরের ওই আদেশের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশের বিষয়েও আদালতের রায় মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১৫ অগাস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ মন্তব্য করে দুই বিচারকের বক্তব্য ধরে তাদের অপসারণ চেয়ে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেন। দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনসহ তাদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।
পরে ২৯ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)