শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রায় সাড়ে চার মাস আগে নয়াপল্টনে সমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর ফলে বিএনপি শীর্ষ এই দুই নেতার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি নেতাদের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের এক সদস্যসহ মোট দুইজন নিহত হন। আহত হন পুলিশ আনসারের ৬৫ জনের মতো সদস্য। আহত হ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও।
ঘটনার পরদিন মির্জা ফখরুলকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ফখরুলকে আটকের পাঁচ দিন পর ২ নভেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। ওই মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারের পর মির্জা ফখরুল বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা করা হয়। বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলা ছাড়া সব মামলাতেই জামিন পান তারা। সর্বশেষ মামলাটিতে জামিন পাওয়ায় তাদের মুক্তিতে আর বাধা থাকবে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)