সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন মামলায় আটক হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর যে অভিযোগ করা হচ্ছে এর ময়নাতদন্ত ও অপমৃত্যুর তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ ফেব্রয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ সময়ে আদালত ঘটনাগুলোতে ময়নাতদন্ত ও অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে কি না রিটকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কে মরেছে, সাদা না কালো, এটি দেখার দরকার নেই। ঘটনাগুলোতে সবারই লজ্জিত হওয়া উচিত যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) নিয়ে ২০১৩ সালে আইন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আবেদনকারীর পক্ষের উদ্বেগ, যুক্তি বা কিছু বলার থাকলে যেখানে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানে মামলা করতে পারেন। আইন তাকে এ অধিকার দিয়েছে।
বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিকমানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই রিট আবেদন করেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)