সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য মো. নাজমুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ দিন রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিল্টনের ঘোষিত ক্যাডার নাজমুল। তিনি আসামি মিল্টনের গাড়ি চালানোসহ বিভিন্ন লোকের সঙ্গে জবরদস্তি-মারামারি করে ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তদন্তে এ মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং অন্যান্য অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।
অন্যদিকে, জামিন চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, রোববার রাত ১১ টার দিকে মিরপুর থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাদী মতিউর রহমান মল্লিক তার বান্ধবী আসমা আক্তার আয়শার মাধ্যমে সংবাদ পান যে, মিরপুর-১ নম্বর দক্ষিণ বিছিলের রাস্তায় অন্ধ বৃদ্ধ লোক পড়ে আছেন। বাদী ওই বৃদ্ধ লোকটিকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করেন। অসুস্থ বৃদ্ধ মোতালেবকে সুচিকিৎসা ও দেখভাল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামক আশ্রমে ওইদিন রাতে হস্তান্তর করেন।
পরবর্তী সময়ে মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বৃদ্ধ মোতালেবকে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেন জানতে পারেন। বাদী চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে মিল্টন সমাদ্দারের কাছে বৃদ্ধ মোতালেবের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় আসামি নাজমুলসহ ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী মতিউর রহমান মল্লিকের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
তখন আসামি নাজমূল জোরপূর্বক বাদীর কাছ থেকে দারুস সালাম থানায় লিপিবদ্ধ করা ও চাইল্ড কেয়ারে হস্তান্তরের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। এছাড়া, বাদীর মোবাইলে ধারণ করা মারামারির ভিডিও ডিলিট করে দেন এবং জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)