শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায়ের তারিখ তৃতীয়বারের মতো পেছানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রায়ের তারিখ পিছিয়ে ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।
এর আগে দ্বিতীয় দফা পেছানোর পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেদিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলাটিতে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করছে দুদক। ফলে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও দুদকের।
তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা রয়েছে।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদক উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)