শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভাত আমাদের প্রধান খাবার। দিনের মধ্যে অন্তত একবেলা ভাত না খেলে সেই দিনটা অসম্পূর্ণ লাগে যেন। কিন্তু সমস্যা হলো ভরপেট ভাত খেতে থাকলে একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। কারণ ভাতে থাকে কার্বোহাইড্রেট। আর সেই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটের জেরে শরীরে মেদ জমতে থাকে। এ কারণে অনেকে ইচ্ছা থাকার পরও ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেয়। আপনি কি জানেন, চাইলে পেট ভরে ভাত খেয়েও ওজন কমাতে পারবেন? কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভাত খেয়েই আপনি ওজন বাড়াতে পারবেন। তবে এখানে একটু কথা আছে। আমরা প্রতিদিন যে ভাত খাই সেটা নয়, খেতে হবে অন্য ভাত। অন্য ভাত আবার কী এই প্রশ্ন মনে আসছে তো। আসলে আমরা তো সাধারণত সাদা ভাত খাই। ঝরঝরে একথালা সাদা ভাতের সঙ্গে তরকারির বিভিন্ন পদ। মাছ, মাংস, সবজি, ভর্তা কত কী! কিন্তু এই অভ্যাসটাই আপনাকে বদলাতে হবে। সাদা ভাতের বদলে খেতে হবে অন্য রঙের ভাত। আর তাতেই পাবেন উপকার।
সাদা ভাত বাদ দিয়ে কী খাবেন? খেতে হবে বাদামি রঙের ভাত। এই চাল কিংবা ভাত এর আগেও দেখেছেন নিশ্চয়ই? বাদামি রঙের ভাত কিন্তু শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। কারণ এই বাদামি রঙের ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই পুষ্টি উপাদান আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তাই এখন থেকে পেট ভরে ভাত খেলেও দুশ্চিন্তা নেই। শুধু ভাত রান্নার আগে খেয়াল করুন চালটা যেন বাদামি হয়।
ওজন কমানোর কাজে সাহায্য করা হলো ফাইবারের একটি বিশেষ গুণ। আবার এই বিশেষ পুষ্টি উপাদান যেসব খাবারে থাকে তা একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া যায় না। বরং অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। যে কারণে কম খাবারেই আপনি তৃপ্তি বোধ করবেন। আপনার পেট ভরা মনে হবে। আবার এভাবে থাকতেও পারবেন দীর্ঘ সময়। তখন আর বাড়তি খাবার খেতেও ইচ্ছা করবে না। বারবার ক্ষুধা না লাগলে বারবার খাওয়াও হবে না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ হবে।
খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে ওজন কমানো আর ততটা ঝামেলার মনে হবে না। তাই আপনি যদি বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন আবার ভাত খেতেও ইচ্ছা করে, তবে বাদামি চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা অনেকটাই সহজ হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)