শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১


তরকারিতে ধনেপাতা মেশালে কী হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত:১১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৩৮

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আলু-টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল কিংবা কোনো ভর্তা— খানিকটা ধনেপাতা মেশালে যেন এর স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ। শীতকালে সহজলভ্য এই ঝাঁঝালো ঘ্রাণের পাতাটি বাঙালি প্রায় সব তরকারিতেই ব্যবহৃত হয়। এর ঘ্রাণে কাবু হন অনেকেই।

মন চাঙ্গা করে তোলে-

কেবল খাবারের স্বাদ নয়, ধনেপাতার ঘ্রাণে মন-মেজাজ হয়ে ওঠে ফুরফুরে। এমন প্রমাণই মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

ত্বকের যত্ন নেয়-

রক্তে জমে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতে পারে ধনেপাতা। আর রক্ত পরিষ্কার হলে এর প্রভাব পড়ে ত্বকে। ঝলমলে ত্বক চাইলে রান্নায় ধনেপাতা ব্যবহার করতেই পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে-

শীতকালে ভাল-মন্দ খাবারের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখুন ধনেপাতা। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সেসঙ্গে বিপাকহারও ভালো হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-

শীতে সংক্রামক ব্যধির পরিমাণ বেড়ে যায়। আবার, এই শীতেই বাজারে ধনেপাতার আবির্ভাবও হয়। কেন বলুন তো? ঠান্ডার সময়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ধনেপাতা।

হজমশক্তি উন্নত করে-

গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার যদি নিত্য সঙ্গী হয় তবে ভাতের সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি খেতে পারেন। তৎক্ষণাৎ পেটের অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এই ভেষজ।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে-

বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, রক্তে শর্করা বশে রাখে ধনেপাতা। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নিশ্চিতে ধনেপাতা খেতে পারেন।

হার্টের জন্য উপকারি-

ধনেপাতা খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় এটি।

বেশি ধনেপাতা খাওয়ার অপকারিতা-

উপকারি হলেও ধনেপাতা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পরিমাণে এই পাতা খেলে দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। হঠাৎ ব্লাড প্রেশার কমিয়ে দিতে পারে এটি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ধনেপাতা কম খাওয়াই ভালো।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৫৮ ভোর
যোহর ১১:৪৫ দুপুর
আছর ০৩:৩৬ বিকেল
মাগরিব ০৫:১৫ সন্ধ্যা
এশা ০৬:৩১ রাত

শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪