সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
দুপুরের খাওয়া শেষ হওয়া মাত্র চোখ যেন আর কোনো কথা শুনতে চায় না। একটু ঘুমের জন্য শরীর ছটফট করতে থাকে। ভাত খাওয়ার পর কিছুক্ষণ ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। আর তাই দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যবর্তী সময়ের ঘুমকে ভাতঘুম বলা হয়।
বাড়িতে অনেকেরই খাবার খাওয়া শেষে একটু জিরিয়ে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু অভ্যাস কি শরীরের জন্য ভালো না ক্ষতিকর?
ভাতঘুম ভালো নাকি মন্দ তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন এই অভ্যাস বেশ স্বাস্থ্যকর। আবার কারও মতে খেয়েদেয়ে ঘুমানো মোটেও উচিত নয়। কেবল বাড়ি নয়, অফিসে থাকলেও খেয়াল করবেন দুপুরের দিকে বেশ জাঁকিয়ে ঘুম আসছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা এই অভ্যাসকে খারাপ বলে মানতে রাজি নন। তাদের মতে, দুপুরে খেয়ে ঘুমিয়ে নিলে কাজ করার শক্তি আরও বাড়ে, দূর হয় ক্লান্তি। তবে ঘুমানোর নিয়ম আছে। ভারী খাবার খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকা চলবে না। মাত্র ৩০ মিনিট ঘুমাতে হবে। এতেই শরীরের ক্লান্তি দূর হবে আর মস্তিষ্কও ঠিকমতো কাজ করবে।
দেখা গেছে যারা বিমান চালান তারা যদি ২৬ মিনিটের ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেন, তাহলে তাদের দক্ষতা আরও ৩৪ শতাংশ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় মনঃসংযোগও।
ভাতঘুম নিয়ে আরও গবেষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমোনোর অভ্যাস স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তাই অল্প সময় ঘুমালে মনমেজাজ শান্ত থাকে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, পিসিওডির সমস্যা থাকলে দুপুরে আধা ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম নেওয়া ভালো। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে দুপুরে কিছুটা সময়ের জন্য ঘুমানো ভালো।
কিন্তু ঘুমাতে হবে ৩০ মিনিটই। এর বেশি নয়। কারণ এর চেয়ে বেশি হয়ে গেলে তখন ক্লান্তি কমার চেয়ে বাড়বে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, খেয়ে উঠে আগে ১৫ মিনিটের মতো হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে নিলে ভালো হয়। এরপর বিশ্রাম নিন। এতে খাবারও হজম হবে এবং বাড়তি ক্যালোরিও জমবে না শরীরে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)