মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গ্রীষ্মেই ত্বকের ক্ষতি হয় সর্বোচ্চ। রোদের কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়া, কালচে দাগছোপ, ফুসকুড়ি, র্যাশ, অ্যালার্জির মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর এসব সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে বরফ।
গরমে কেন ত্বকে বরফ ঘষবেন? এতে কী কী উপকার মেলে? চলুন জেনে নিই-
ত্বকের রন্ধ্রপথের খোলা মুখ বন্ধ করে
অনেক সময়েই মুখের টি জ়োন অর্থাৎ কপাল, নাকের দু’পাশে, গাল এবং থুতনিতে ত্বকের রন্ধ্রপথের মুখ বড় হয়ে যায়। ফলে ত্বক অমসৃণ ও অনুজ্জ্বল দেখায়। অতিরিক্ত গরমে ঘাম এবং ত্বকের সেবাম বা নিঃসৃত তেল জমে এমন সমস্যা হতে পারে। ত্বকে বরফ ঘষলে এই সমস্যা কমে।
বরফের শীতলভাব রক্তবাহী নালিকাকে সঙ্কীর্ণ করে। ত্বকের রন্ধ্রপথের মুখও বন্ধ করে। ফলে ত্বকে দ্রুত মসৃণ ভাব আসে। ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
চোখের নিচের ফোলাভাব এবং কালচে ছোপ দূর করে
গরমের তপ্ত আবহাওয়ায় শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। এতে অনেক সময় চোখের কোল বসে যায়। আবার অনেকক্ষেত্রে চোখের নিচে ফোলাভাবও দেখা দেয়। দুটি সমস্যারই সমাধান করতে পারে বরফ। এক্ষেত্রে শুধু বরফ ব্যবহার করতে পারেন আবার আইস ট্রে তে শসার রস আর গ্রিন টি মিশিয়েও জমতে দিতে পারেন।
এই বরফ চোখের তলায় মাসাজ করলে গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস ত্বকে তরতাজা ভাব আনবে। শসার রস ত্বককে ভেতর থেকে শীতল করে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।
রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের অস্বস্তি দূর করে
রোদে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বক পুড়ে যায়। শুরু হয় অস্বস্তি। ত্বক থেকে এই অস্বস্তি কমাতে একটি সুতি কাপড়ে বরফ মুড়ে ঘষতে পারেন। এতে ত্বকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব কম পড়বে। দ্রুত কোষের নিরাময় হবে। রোদে পুড়ে ত্বকে সৃষ্টি হওয়া লালচেভাব, জ্বালা বা ব্যথাও দূর হবে।
তবে রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকে কখনো বরফ সরাসরি ব্যবহার না করবেন না। নরম কাপড়ে মুড়ে ব্যবহার করাই শ্রেয়।
ব্রণের সমস্যা দূর করে
ব্রণর ওপর বরফ দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করলে তা বেড়ে ওঠার ঝুঁকি কমে। অনেকসময় ব্রণে খুব ব্যথা হয়। এর ভেতর এক ধরনের সাদাটে তরল জমে। এই তরল বা পুঁজ জমতে বাধা দেয় বরফ। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল মেশানো বরফ বেশি কাজ করে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করে
মুখে বরফ দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করলে তা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। নিয়মিত বরফ মাসাজ করলে তা তারুণ্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াকে অনেকে ‘আইস ফেসিয়াল’ বলে থাকেন।
আইস ট্রেতে গোলাপ জল, গ্রিন টি জমিয়ে রাখুন। প্রতিদিন সকালে এক একটি কিউব দিয়ে মুখে মাসাজ করুন। এটি ত্বক উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি, ত্বকের টান টান ভাবও ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
গ্রীষ্মকালে ত্বকের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। এর মূল কারণ গ্রীষ্মের তীব্র রোদে থাকা অতিবেগুনি রশ্মি। এই রশ্মি ত্বককে পুড়িয়ে দেয়, ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা, শুষ্কতা, দাগছোপ দেখা দেয়। এসব সমস্যা সমাধানে বরফ ব্যবহার করুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)