রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাঙালির অতিপরিচিত খাবার ভাত। আর এ ভাত ছাড়া যেন চলেই না। কিন্তু প্রতিদিন ভাত খেলে কি আপনার ওজন কমবে, মেদ কমবে; তা সম্ভব না। আপনার শরীরের বাড়তি ওজন ও মেদ কমাতে খেতে হবে ভাতের বদলে প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার সালাদ। আর এই সালাদ যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদুও।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাতের পরিবর্তে কীভাবে সালাদ খাবেন—
শরীরের ওজন কমাতে এখন আপনি ছাড়া অনেকেই ভাত কিংবা রুটি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। এর বদলে খাদ্যতালিকায় রাখছেন ডালিয়া, ওট্স কিংবা কিনোয়া। দুপুরে কিংবা রাতে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাত বা রুটির বদলে হালকা কিছু খাবেন। যদিও প্রতিদিন ওটস কিংবা কিনোয়া খেতে ভালো লাগে না।
কিন্তু আপনার মনে রাখা উচিত, কখনো ভারি খাবার খাওয়া ঠিক না। শরীরের স্বাস্থ্য ও মেদ ঠিক রাখতে সে জায়গায় সালাদ ভালো বিকল্প হতে পারে। সালাদ মানেই যে শুধু শসা, পেঁয়াজ আর টমেটো, তা কিন্তু নয়। নানা রকম সালাদ হয়। কোনোটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ, আবার কোনোটিতে থাকে শুধুই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। তাই অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ সালাদই খেতে হবে।
মৌসুমি ফল আনাজের সালাদ খাওয়া সবসময়ই ভালো। তাতে শরীর যেমন পুষ্টি পায়, তেমনি নানা রঙে ভরা সেই খাদ্য মনও ভালো করে। তবে প্রচুর ক্যালোরিতে ভরা ড্রেসিং মেশানো কায়দার সালাদ খেলে হবে না। খেয়াল রাখা উচিত, বাজার চলতি ড্রেসিং যত মেশাবেন, সালাদের উপকারিতাও ততই কমবে।
যে সালাদ খেলে উপকার হবে—
মিক্সড সালাদ
যে কোনো শাকসবজি-ফল ব্যবহার করতে পারেন ব্রকোলি, বেলপেপার, মটরশুঁটি, বিনস্, টোমেটো, বিট, গাজর, পালংশাক, ভুট্টা। যে মৌসুমে যা পাওয়া যায়, সবই রাখুন ঘুরে-ফিরে। আনাজগুলো ছোট করে কেটে, ভাপিয়ে নিন৷ পানি বেশি দেবেন না। এবার এক চামচ অলিভ অয়েলে অল্প আদাকুচি, কয়েক কোয়া রসুন নাড়াচাড়া করে নিন। সেই তেলেই সিদ্ধ করা আনাজ ফেলে অল্প নাড়াচাড়া করুন। মাঝে মধ্যে স্বাদ বদলাতে আদা-রসুনের সঙ্গে একটু পেঁয়াজ কুচিও দিতে পারেন। প্রতিদিন তেল খেতে না ইচ্ছা হলে ভাপানো আনাজে একটা গোটা পাতিলেবুর রস মেশাতে পারেন। স্বাদমতো গোলমরিচ আর লবণ ছড়িয়ে নিন।
ছোলা ও পুদিনার সালাদ
পরিমাণমতো ছোলা আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ ছোলার সঙ্গে কুচি করে কাটা শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, লাল বা হলুদ বেলপেপার ও একমুঠো পুদিনাপাতা মিশিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতে স্বাদমতো লবণ, গোলমরিচ, এক চিমটে চাট মশলা বা জিরা গুঁড়ো ও পাতিলেবুর রস মেশালে তৈরি হয়ে যাবে সালাদ। স্বাদ বদলাতে তেঁতুল পানিও দিতে পারেন মাঝে মধ্যে। তবে অম্বলের ধাত থাকলে বেশি টক না খাওয়াই ভালো।
তরমুজ পনির ও পুদিনার সালাদ
খাবারে মুখের রুচির স্বাদ বদলাতে এ সালাদের তুলনা হয় না। ঠান্ডা তরমুজের সঙ্গে পনির ও পুদিনাপাতার মিশেল যেমন পুষ্টিকর, তেমনই স্বাদেও আরাম দেবে। তরমুজ ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার পনির কাঁচাও রাখতে পারেন বা অলিভ তেলে হালকা সাঁতলে নিতে পারেন। এই সালাদে পুদিনা ও শসার টুকরো মেশালে স্বাদ আরও খুলবে। লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে এ সালাদ ভালো লাগে। তা ছাড়া এতে অল্প করে চাট মশলা ও পাতিলেবুর রসও দিতে পারেন।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)