বৃহঃস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
নির্দিষ্ট বয়সের পর বেশিরভাগ মানুষ হাঁটুর সমস্যায় ভুগেন। দিন দিন এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এমনকি বয়স ৩৫-এর কোঠা পেরিয়ে যাওয়ার আগেই শরীরে দানা বাঁধতে শুরু করে এ রোগ। বিশেষ করে নারীদের মধ্যেই এ অসুখ বেশি করে দেখা দিচ্ছে।
অবহেলা করলে পরিস্থিতি জটিল দিকে মোড় নিতে পারে। তাই আগভাগেই সতর্ক হওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাঁটুর ব্যথায় ভুগতে থাকা বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, প্রথম দিকে এমনিতে হাঁটুর কোনো ব্যথা দেখা যায় না। কিন্তু কোনো জায়গায় কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ওঠার সময় হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়।
এটি হচ্ছে একদম প্রাথমিক পর্যায়ে হাঁটুর সমস্যার পূর্ব লক্ষণ। এ অবস্থাকে বেশিরভাগ মানুষই তেমন একটা পাত্তা দেন না। তারা মনে করেন, বয়সজনিত কারণে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ মনোভাব কিন্তু ভীষণ ক্ষতিকর। এ ছাড়া অনেকেই বলে থাকেন, রাস্তায় হাঁটতে-চলতে অসুবিধা হয় না। অথচ সিঁড়িতে উঠতে নামতে গেলেই শুরু হয় ব্যথা। এর কারণ কী? কেনই বা এমন হয়?
১. যখন আমরা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকি, তখন হাঁটুর জোড়ার ভেতরের তরল পদার্থ ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। ফলে হাঁটু কিছুটা শক্ত গিয়ে ব্যথা শুরু হতে পারে।
২. হাঁটুর ভেতরে থাকা কার্টিলেজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ে যেতে থাকে। বসে থাকলে এর ওপর চাপ পড়ে, ফলে ওঠার সময় ব্যথা লাগে।
৩. হাঁটুকে সাপোর্ট দেওয়া পেশিগুলো যদি দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর উঠতে গেলে হাঁটুর ওপর বেশি চাপ পড়ে।
৪. অনেক সময় হাঁটুর বাটি ঠিকমতো তার জায়গায় থাকে না। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে ওঠার সময় কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় এটি ঘষা খায়। ফলে ব্যথা শুরু হয়। এমনকি হাঁটুর আশপাশের টেন্ডনগুলোতে প্রদাহ হলে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় ব্যথা হতে পারে। প্রথম দিকে এ ব্যথা কম থাকে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়ে যায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে সাঁতার, সাইক্লিং কিংবা হাঁটাহাঁটির মতো হালকা ব্যায়াম কাজে দেয়। একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম করলে সুফল পাবেন। তবে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া নিজের ইচ্ছামতো কোনো ওষুধ ভুলেও খাবেন না। হাঁটুর সঠিক পরীক্ষা করে তবেই চিকিৎসা শুরু করুন। তাই হাঁটুর সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)