বৃহঃস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
সকালে উঠে অনেকেরই পেট ফাঁপা বা ভরে থাকার মতো অনুভূতি থাকে। মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে এমনটা হয়। বিশেষ করে যখন খাবারে ফাইবার বা হাইড্রেশনের অভাব থাকে।
সুখবর হলো, এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন ছাড়াই। আমাদের ঘরেই বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা মসৃণ হজমে সহায়তা করতে পারে। সকালের নাস্তায় কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী খাবেন-
লেবু দিয়ে গরম পানি
চা বা কফির আগে লেবু দিয়ে এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। এটি শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে, হজমকে উদ্দীপিত করে এবং অন্ত্রের গতিবিধিকে বৃদ্ধি করে। বিখ্যাত পুষ্টিবিদ লুক কৌটিনহোর মতে, উষ্ণ পানি খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পিত্ত উৎপাদনে সহায়তা করে, যা হজমের জন্য অপরিহার্য। যেমনটি ২০২৪ সালের একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভেজানো কিশমিশ বা ডুমুর
৬ থেকে ৮টি কালো কিশমিশ বা ২টি শুকনো ডুমুর সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন। এই ফলগুলোতে প্রচুর ফাইবার থাকে এবং মৃদু রেচক হিসেবে কাজ করে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কিশমিশ মল জমাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডুমুর নিয়মিত বাওয়াল মুভমেন্ট বাড়াতে পারে। হাইড্রেশন বাড়াতে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।
পেঁপে বা পাকা কলা
২০২৩ সালের একটি জার্নাল অনুসারে, পেঁপেতে পেপেইন থাকে। এটি একটি এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে এবং মসৃণ হজমশক্তি বাড়ায়। ২০১১ সালের একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাকা কলা ফাইবার এবং পটাসিয়াম উভয়ই সমৃদ্ধ, যা উভয়ই অন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা কলা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্যকে আরও খারাপ করতে পারে।
গরম দুধের সাথে ঘি
পুষ্টিবিদরা এক গ্লাস উষ্ণ দুধে এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন, হয় নাস্তার আগে অথবা শোবার আগে। ঘিতে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং হালকা রেচক প্রভাব ফেলতে পারে। দুধে থাকা ল্যাকটোজ নিয়মিত মলত্যাগের জন্যও সাহায্য করতে পারে।
ভেজানো চিয়া বীজ
চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখলে জেলের মতো হয়ে যায়, যা মল নরম করতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় এর উচ্চ ফাইবার এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এক চামচ চিয়া বীজ রাতভর পানিতে বা বাদামের দুধে ভিজিয়ে রাখুন, ফ্রিজে রাখুন এবং সকালে পান করুন। এটি নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)