শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২


মনে প্রশান্তি চান? করতে হবে এই ৫ কাজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত:২৩ আগষ্ট ২০২৫, ১৫:৩৫

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

আমাদের সবার জীবন আজকাল দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ক্লান্ত এবং চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক। আমাদের বেশিরভাগেরই বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই; আমরা কেবল একটু প্রশান্তি পেতে চাই। এটা কঠিন কিছু নয়। আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাস মনে প্রশান্তি আনতে পারে। শত ব্যস্ততা ও চাপের মাঝেও আপনি তখন আর খেই হারাবেন না। কী সেই অভ্যাস? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

খানিক বিরতি নিন

কখনো কখনো ভাল বোধ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায়ও এবং গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া। ব্যস্ত দিনের মধ্যে তাড়াহুড়ো বা কেবল ঘুম থেকে ওঠার পর, যখনই হোক না কেন শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কমিয়ে নিজেকে শিথিল এবং স্থির বোধ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিশেষ কিছুর প্রয়োজন নেই- শুধু নিজের জন্য কয়েক মিনিট। যত বেশিবার এটা করবেন, চাপ তত দ্রুত হালকা হবে।

বিক্ষেপ কমান

মন যদি নানাকিছু নিয়ে ভাবতে থাকে তখন শান্তি বোধ করা কঠিন। ক্রমাগত বিজ্ঞপ্তি, অবিরাম স্ক্রলিং, এমনকী একটি অগোছালো ডেস্কও চাপ বাড়াতে পারে। স্ক্রিন টাইম কমানো, নিজের কাজের জায়গা জায়গা পরিষ্কার রাখার মতো অভ্যাস আপনাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে। চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার থাকলে মনও পরিষ্কার থাকে। যেমন এক ঘণ্টার জন্য ফোন সাইলেন্টে রাখার অভ্যাসও অনেকটা স্বস্তি আনতে পারে।

চিন্তা নিয়ে বসে থাকবেন না

চিন্তা করা স্বাভাবিক, কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা করা খুব কমই সাহায্য করে। আপনার চিন্তাভাবনাগুলো লিখে রাখুন, চুপচাপ বসে থাকার জন্য কয়েক মিনিট সময় নিন, অথবা বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে কথা বলুন। এতে চিন্তা অনেকটাই দূর হবে। দুশ্চিন্তা দূর করে এমনকিছু নিয়ে ভাবুন যা আপনাকে শান্তি দেয়। যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন।

ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন

ভালো ঘুম আপনার মনের জন্য একটি রিসেট বোতামের মতো কাজ করে। এটি কেবল আপনি কত ঘণ্টা ঘুমান তার ওপর নির্ভর করে না, বরং কতটা বিশ্রাম নিতে পারেন সেটিও বোঝায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, রাতে ফোন সাইলেন্ট রাখার মতো অভ্যাস আপনাকে সতেজ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। গভীর ঘুম মেজাজ স্থির রাখ। তাই ভালো ঘুমের দিকে মনোযোগ দিন।

কোনো কিছু ফিরে পাওয়ার আশা না করে দান করুন

আত্মকে হালকা বোধ করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো কোনো কিছু ফিরে পাওয়ার আশা না করে অন্যদের সাহায্য করা। দৈনন্দিন জীবনে একটি সদয় শব্দ, একটি ছোট অনুগ্রহ, অথবা সামান্য ধৈর্য আপনার মনকে প্রশান্ত করতে পারে। এই ছোট ছোট কাজগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনক উপায়ে প্রতিদান নিয়ে আসে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এগুলো এমন অনুভূতি দেয় যা বস্তুগত জিনিস কখনোই প্রতিস্থাপন করতে পারে না।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১৮ ভোর
যোহর ১২:০২ দুপুর
আছর ০৪:৩৫ বিকেল
মাগরিব ০৬.২৯ সন্ধ্যা
এশা ০৭:৪৪ রাত

শনিবার ২৩ আগস্ট ২০২৫