বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
চিয়া সিড তার অনন্য পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। যেহেতু এটি আমাদের খাদ্যতালিকায় প্রাধান্য পাচ্ছে, তাই কীভাবে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী হবে তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। সব ধরনের খাবার চিয়া সিডের সঙ্গে ভালোভাবে মেশে না। কিছু সংমিশ্রণ হজম এবং পুষ্টির শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো চিয়া সিডের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না-
১. মিল্কশেক এবং ফুল ফ্যাট ডেইরি প্রোডাক্ট
চিয়া সিড তরল পদার্থের সঙ্গে মিশ্রিত হলে প্রসারিত হয় এবং জেলের মতো ঘনত্ব তৈরি করে। যদি আপনার অন্ত্র সংবেদনশীল হয়, তাহলে ফুল ফ্যাট ডেইরি প্রোডাক্টের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে। ২০১৩ সালের একটি গবেষণাপত্রে তুলে ধরা হয়েছে যে, উচ্চ-চর্বিযুক্ত খাবার হজমকে ধীর করে দেয়, যার ফলে শরীরের জন্য চিয়া সিডের ফাইবার প্রক্রিয়া করা কঠিন হয়ে পড়ে। পাচনতন্ত্রকে সুচারুভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য চিয়া সিড এবং ফুল ফ্যাট ডেইরি প্রোডাক্ট আলাদাভাবে খাওয়া ভাল।
২. ডুবো তেলে ভাজা খাবার
পাকোড়া, সমুচা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই চিয়া সিডের সঙ্গে খাবেন না। ২০২১ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, চিয়া সিড হজমশক্তি বাড়ায়, ভাজা খাবার তা ধীর করে দিতে পারে। এই মিশ্রণটি অস্বস্তি, অ্যাসিডিটি বা বদহজমের কারণ হতে পারে। ফলের মতো হালকা খাবারের চিয়া সিডের মিশ্রণ স্বাস্থ্যকর হজমশক্তি বাড়ায় এবং এর পুষ্টিগুণ সর্বাধিক করে তোলে।
৩. সাদা ভাত
চিয়া সিড ফাইবার সমৃদ্ধ, অন্যদিকে সাদা ভাত মূলত পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং খুব কম ফাইবারযুক্ত। এগুলো একসাথে খেলে হজমে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথ কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চিয়া সিড হজমশক্তি কমিয়ে দিলেও সাদা ভাত দ্রুত হজম হয়, যা সিস্টেমকে বিভ্রান্ত করে। এই মিশ্রণটি বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা বা পেট খারাপ হতে পারে।
৪. কলা
কলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার, তবে চিয়া সিডের সঙ্গে অতিরিক্ত মিশিয়ে খেলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে। ২০২১ সালের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, কলা দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, চিয়া বীজেও দ্রবণীয় ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ভারী ভাব দেখা দিতে পারে। মাঝে মাঝে কলা-চিয়া স্মুদি খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু যদি আপনার অন্ত্র সংবেদনশীল হলে প্রতিদিন খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৫. অতিরিক্ত চিনি
হালুয়া, কেক বা মিষ্টি স্মুদির মতো চিনিযুক্ত মিষ্টিতে চিয়া সিড যোগ করলে এর উপকারিতা কমে যায়। অতিরিক্ত চিনি হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং চিয়া সিডে থাকা ফাইবার এই প্রভাবের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে। যাদের অন্ত্র সংবেদনশীল, তাদের জন্য এই মিশ্রণটি অস্বস্তিকর হতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)