সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দুধকে বলা হয় আদর্শ খাবার। পুষ্টিগুণে ভরা এই খাবারটি সবার জন্য নয়। বিশেষ করে ৫ ধরনের ব্যক্তিরা কখনোই খাওয়া উচিত নয়। এরা দুধ খেলে অসুখে পড়বেন।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, দুধ হল একটি সুষম পানীয়। কারণ এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফোলেট, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী ভিটামিন ও খনিজ। তাই নিয়মিত এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিলে যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য।
তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, এহেন অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়ও কিন্তু কিছু ব্যক্তির শরীরে নানাবিধ জটিলতা তৈরি করার ক্ষমতা রাখে। তাই আর সময় নষ্ট না করে এমন ৫ ধরনের মানুষের সম্পর্কে জেনে নিন, যাদের শরীরে এই পুষ্টিকর পানীয়ও প্রায় ‘বিষের’ মতোই কাজ করে। আর এই তালিকায় যদি আপনার নাম থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এই পানীয়ের থেকে তফাতে যান। এই কাজটা করলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
বাড়বে ওজন-
ওজন বেশি থাকলে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই চিকিৎসকেরা সকলকে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন। তবে মুশকিল হল, নিয়মিত হোল ফ্যাট মিল্ক খেলে ওজন তো কমবেই না, উল্টে বাড়বে। তাই আজ থেকেই হোল ফ্যাট মিল্ক খাওয়ার বদভ্যাসটা ছাড়ুন। তবে আপনারা চাইলে অনায়াসে ডবল টোনড দুধের গ্লাসে চুমুক দিতে পারেন। এই কাজটা করলে ওজনকে অনায়াসে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে পারবেন।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলেই বিপদ-
দুধে রয়েছে ল্য়াকটোজ নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান সকলে হজম করতে পারেন না। সেই সুবাদে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বমি, পায়খানা থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে ভুক্তভোগীরা ভুলেও গোরুর দুধ খাবেন না। তবে দুধের বদলে আপনারা অনায়াসে দই, ছানা, পনির খেতে পারেন। তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না বললেই চলে।
অ্যালার্জির ভ্রূকুটি-
অনেকেরই দুধে মজুত একাধিক উপাদানে অ্যালার্জি থাকে। তাই দুধ খাওয়ার পরপরই তারা ব়্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ে বেজায় কষ্ট পান। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলেও কোনও মতেই দুধ খাওয়া চলবে না। এমনকি সমস্যা হলে পনির, ছানা, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার লোভও সামলে নিতে হবে। এই নিয়মটা মেনে চললেই আর সমস্যার ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না।
গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে এড়িয়ে চলুন-
নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদে পড়ে কষ্ট পান নাকি? উত্তর যদি হ্যা হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব দুধের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিন। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত দুধ খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রকোপ আরও বাড়বে বৈকি! তাই গ্যাসট্রাইট্রিসের রোগীদের দুধ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা অনায়াসে দই খেতে পারেন। তাতে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়বে। ফলে অনায়াসে এইসব ছুটকো সমস্যাকে বশে রাখতে পারবেন।
ব্রণ থাকলে দুধ খাওয়া বারণ-
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কথায়, ব্রণর মতো সমস্যা থাকলে কিছুদিন অন্তত দুধ এড়িয়ে চলা উচিত। এই কাজটা করলেই এই ত্বকের সমস্যাকে বাগে আনতে পারবেন। ঠিক একইভাবে এগজিমা রোগীদেরও এই পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনারা একদম সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)