বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শীতের সময়টাতে অসুখে পড়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই এসময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা বেশি প্রয়োজন। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে সুস্থ থাকা অনেক বেশি সহজ হয়। তাই শীতের সময়ে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হজম ক্ষমতা ভালো রাখা জরুরি।
অস্বাস্থ্যকর, খুব বেশি বা খুব কম বা খাবার খাওয়ার অভ্যাস, খাবারের ভুল সংমিশ্রণ ইত্যাদি আমাদের হজম ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যার প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। তাই সবার আগে হজম ক্ষমতা শক্তিশালী করা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করে পরিচিত কিছু খাবার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমন কিছু সুপারফুড রয়েছে। যেমন আমলকি, খেজুর, মাখন, গুড়, তুলসি পাতা, হলুদ, আদা, দারুচিনি, আদা, লবঙ্গ, হলুদ, গিলয় এবং গোলমরিচ। এই খাবারগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত সাহায্য করে।
এসব ভেষজ যোগ করে আপনি প্রতিদিন পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ ভেষজ চা শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, শরীরকে ডিটক্সাইফাই করে, হজম স্বাস্থ্যকে সাহায্য করে এবং শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি প্রদাহ কমিয়ে দেয়, বার্ধক্যকে ধীর করে এবং ওজন কমাতেও কাজ করে।
সকালে হালকা গরম পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শীতের সময়ে গায়ে সরিষার তেল বা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই অভ্যাসও এই সময়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুর্দান্তভাবে কাজ করবে।
শীতের সময়েও অনেকের ঠান্ডা পানীয় পান করার অভ্যাস থাকে। এমনটা করা যাবে না। শীতে যেকোনো ধরনের ঠান্ডা পানীয় পান করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ ঠান্ডা পানীয় শীতকালীন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখবেন। এসময় বিভিন্ন ধরনের গরম পানীয় ও স্যুপ খাবেন নিয়মিত।
শীতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করতে পারে দুটি পরিচিত উপাদান। সেই দুই উপাদান হলো মধু ও তুলসি। তাই প্রতিদিন সকালে মধু দিয়ে তুলসি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সব ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকা যাবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)