শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
একমাস রোজা রাখার পর আসে খুশির ঈদ। উৎসবের এই দিনে সবার বাড়িতেই বিভিন্ন মজাদার খাবার রান্না করা হয়। আত্মীয়তা ও সম্প্রীতি রক্ষায় একে অন্যের বাড়িতে যাওয়া হয়, খাওয়া হয় নানা পদের খাবার। এক মাস রোজার পরে হঠাৎ সারাদিন মুখরোচক নানা খাবার খাওয়ার ফলে হজমপ্রক্রিয়ায় তা প্রভাব ফেলতে পারে। যে কারণে ঈদের দিন বা এর পরে অনেকেরই বদ হজমের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঈদের পরে বদ হজম এড়াতে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পরিমিত খান
ঈদের পরে নানা পদের খাবার আপনার সামনে থাকলেও খেতে হবে পরিমিত। অনেকে লোভ সামলাতে না পেরে মজাদার সব খাবার বেশি বেশি খেয়ে ফেলেন। এরপর সেসব খাবার পেটের ভেতরে গিয়ে গোলমাল বাঁধিয়ে দেয়। তাই মজার সব খাবার আপনার খেতে ইচ্ছা করলেও তা খেতে হবে পরিমিত। অল্প করে খেলে পেটে সমস্যা বাঁধার ভয় থাকবে না। এতে আপনার খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হবে আবার বদ হজমও এড়ানো সম্ভব হবে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
হালকা খাবার খান
ঈদে ও ঈদের পরে যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান। ভারী ও মুখরোচক খাবার খাওয়ার জন্য সারা বছর তো রয়েছেই। তাই পেটের স্বাস্থ্য ঠিক করার জন্য দুই-তিন দিন কিছুটা হালকা ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন একবেলা পোলাও, কোর্মা খেলে পরের দুই বেলা সবজি, ছোট মাছ ইত্যাদি ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে হজম ভালো হবে আবার আপনার শরীর সব ধরনের পুষ্টিও পাবে। মূল খাবারের সঙ্গে সালাদ, লেবু ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করুন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান
এখন গরমের সময়। সারা মাস রোজা থাকার কারণে আমাদের শরীরে কিছুটা পানির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তাই এখন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে মূল খাবার খাওয়ার মাঝে খুব বেশি পানি পান করবেন না। পানি পান করতে হবে খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বা পরে। এতে হজমে গোলমাল বাঁধার ভয় থাকবে না। কারণ খাবারের সঙ্গে প্রচুর পানি পান করলে তা শরীরকে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয় এবং হজমপ্রক্রিয়াও ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। পানি ছাড়াও ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলের রস, আস্ত ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
হজমে সহায়ক খাবার খান
খাবারের সঙ্গে হজমে সহায়ক বিভিন্ন খাবার খেতে হবে। যেমন খাবার খাওয়ার পরে এক বাটি টক দই, জিরা পানি বা বোরহানি খেতে পারেন। এ ধরনের খাবার আপনার হজমে সাহায্য করবে। অনেকে হজম সহজ হবে মনে করে কোমল পানীয় পান করে থাকেন। এমনটা একেবারেই করা যাবে না। কারণ কোমল পানীয় আপনাকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও দীর্ঘস্থায়ীভাবে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এতে থাকা অতিরিক্ত চিনি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)