শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আকাশ থেকে বাতাস— সর্বত্র বিরাজমান তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। একটুখানি শীতল বাতাসের অপেক্ষায় চাতকের মতো অপেক্ষায় আছে হাজারও প্রাণ। কেউ কেউ আবার কৃত্রিম উপায়ে শরীর ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন। এই যেমন এসি।
গ্রীষ্মের গরমে বাইরে থেকে ফিরে ফিরেই অনেকে দ্রুত ঠান্ডা হতে আশ্রয় নেন এসির বাতাসে। শীতলতা পেতে সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালু করেন এয়ার কন্ডিশনার। এতে তাৎক্ষনিক শীতলতা পাওয়া যায়। কিন্তু এই কাজটি মোটেও করা উচিত নয়। এতে বিদ্যুৎ বিল আসে বেশি। অন্যদিকে ক্ষতি হয় শরীরের।
ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি (BEE) এর মতে, ঘরে বসে থাকা মানুষের জন্য ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা একেবারে সঠিক। এতে স্বাস্থ্যের ওপর কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হয়।
এই সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালালে সেটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে। এসি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো যদি এমন এয়ার কন্ডিশনার তৈরি করে যার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেট করা হয় তাহলেই সবচেয়ে ভালো হয়।
অনেকে ভাবেন কম তাপমাত্রায় এসি চালালে লাভ বেশি। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে অবশ্যই একটু বেশি ঠান্ডা অনুভব করবেন। কিন্তু এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি।
২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালালেও একই সময়ে রুম ঠান্ডা হবে। কিন্তু ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে কম্প্রেসারটি বেশি লোড হয়। এতে বিদ্যুৎ খরচও হয় বেশি।
বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে চাইলে এসি ২৪ বা ২৬ ডিগ্রিতে সেট করুন। এতে বিদ্যুৎ বিল ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ কমাতে পারবেন। পরিবেশের দিক থেকেও এটি ভালো। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
এসির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়ানোর ফলে তিন থেকে চার শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। এছাড়া সুস্থ থাকতে চাইলে দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন না হলে এসি বন্ধ রাখুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)