শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
স্মার্টনেস আসলে কিভাবে বুঝবেন? লোকটা দেখতে ভালো, বলে সুন্দর আর সবার সঙ্গে তার আচার-ব্যবহারও মার্জিত। তবে স্মার্ট হতে চাইলে ভালো দেখালেই লাভ হবে না। নিজেকে দক্ষ বানানোর আত্নবিশ্বাসও রাখতে হয়। পরিপাটিভাবে নিজেকে উপস্থাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক মাপকাঠি দিয়ে আর কত যাচাই করবেন। নিজের কথাবার্তা, আচার-আচরণে ‘স্মার্ট’ হতে পারা একটা বড় বিষয়। কিন্তু স্মার্ট হতে গেলে কিছু জিনিস মানুষ করেন না। করা আসলে উচিত নয়। মূলত কথায় তারা কিছু বিষয় প্রকাশ করেন না। সেগুলোই একটু দেখে নেওয়া যাক:
‘এটা আমাকে দিয়ে হচ্ছে না’ কিংবা ‘পারবো না’
কারো পক্ষে সবজান্তা হওয়া সম্ভব নয়। সব কাজে তার দক্ষতাও সম্ভব নয়। কিন্তু জীবনের কোনো সময়ে কিছু কাজ আপনাকে করতেই হবে। এসব কাজ পারবো না আগেই বলা খারাপ। কারণ আপনি নিজেও জানেন না এই কাজের দক্ষতা আপনার আছে কি-না। দুম করে আমি পারব না বললে খারাপ দেখায়। বরং বিবেচনা করার জায়গা রাখুন। সময় থাকলে বলুন যে আপনি দেখছেন। অথবা আপনি সাজেশান দিন কিভাবে কাজের সমাধা করা যায়।
‘এইগুলা ব্যাপার!’
কেউ স্মার্ট। তাই বলে নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মানে হয় না। নিজেকে জাহির করলে বরং অন্য মানুষ খারাপ ধরে নিবে। ভাববে আপনি অনেক বেশি ‘পার্ট’ নিচ্ছেন। আপনি কাজ করলে এমনিতেই স্বীকৃতি পাবেন। আলাদাভাবে আর গুণগান করার দরকার নেই।
‘আমার কি দোষ’
ভুল করলে তা স্বীকার করা দরকার। মানুষের তো ভুল হবেই। এই ভুল হলে সেটা স্বীকার করে নিলে বরং আপনার স্মার্টনেস বোঝা যাবে। অন্যের ভুল নিয়ে খোচানোর দরকার নেই। ভুল যদি আপনার হয় সমাধান বের করুন। অন্যকে দোষ দিতে যাবেন কেন। যদি কারো ভুল হয় তাহলে ওই লোকের ব্যক্তিত্ব অনুসারে বোঝানোর চেষ্টা করুন। পরিস্থিতি খারাপ হতে গেলে ঐ লোককে এড়িয়ে চলাই ভালো।
‘ব্যাকডেটেড লোক’
সবার তো আর রুচি মিলবে না। আপনি আধুনিক ভাবনা বা লাইফস্টাইল মানেন দেখে অন্য কাউকে সেকেলে বলতে পারেন না। সমাজের প্রথা অনুসরণ করাও খারাপ কিছু নয়। এভাবে আপনি অন্য মানুষদের স্বস্তি নষ্ট করতে পারেন। আপনাকে অনেকে ভুল বুঝতে পারে।
‘এখন ফরজ কাজ বিয়ে করো’, ‘বেবি নিচ্ছো না কেন’, ‘চাকরির এই অফার বলদরাই ছাড়ে’ বা ‘ক্ষ্যাপার কি হইলো’
‘স্মার্ট’ ব্যক্তি আরেকজনকে বিয়ে, সন্তান, পরিবার-পরিকল্পনা, ওজন, ক্যারিয়ার—এসব নিয়ে গায়ে পড়ে পরামর্শ দেন না। অবান্তর সব প্রশ্নও করেন না। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখানো মানে নিজেকে ছ্যাবলা প্রমাণ করা।
‘এই বোকামি কেউ করে?’
কেউ একজন ভুল বা বোকামো করেছে। তার মনের ঝড় বোঝা তখন কঠিন। আবার অনেকের কিছু অভ্যাস থাকে। এসব যদি আপনার ক্ষতি না করে তাহলে আপনার এখানে কিছু বলার নেই। যদি সে নিজে থেকে এসে পরামর্শ না চায় যাবেন না। আবার তাকে এমনিতেই সমালোচনা না করে শোধরানোর মতো সমাধান দিন যদি সে চায়। অথবা সহানুভূতি দেখাতে চুপ থাকুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)