শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
একসময় মনে করা হতো বয়স বাড়লে দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। তবে তা নয়। বরং বাইরে খাওয়ার প্রবণতা আর শরীরচর্চার অভাবে যেকোনো বয়সেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। কোলেস্টেরলের হাত ধরেই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। চলুন এই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-
খেজুর-
রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমায় খেজুর। এটি হৃদরোগেরও ঝুঁকি কমায়। খেজুরে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। হৃদযন্ত্রের পেশির সক্রিয়তা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে খেজুর।
রোজকার ডায়েটে খেজুর রাখলে রক্তনালিকাগুলিতে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। হার্টের অসুখ, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের ডায়েটে খেজুর রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
অ্যাভোকাডো-
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো রাখলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। অ্যাভোকাডোতে আছে উচ্চ পরিমাণ ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই এর মতো একাধিক খনিজ উপাদান রয়েছে।
গবেষণা মতে, প্রতিদিন একটি করে অ্যাভোকাডো খেলে সেরে যায় কোলেস্টেরলের সমস্যা। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এর মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
পেয়ারা-
এই চেনা ফলটির স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি। পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে যা উপকারি ভূমিকা রাখে। সেসঙ্গে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় এটি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)