শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গরমের তীব্রতায় সবাই কেমন ঝিমিয়ে পড়েছে যেন! এই প্রচণ্ড তাপ থেকে বাঁচতে প্রাণ ঠান্ডা করে এমন সব খাবারের দিকে ঝুঁকছে সবাই। গ্রীষ্মের অন্যতম সুস্বাদু ফল হিসেবে তরমুজের রয়েছে সুনাম। এই গরমে প্রাণ ঠান্ডা করতে এর জুড়ি নেই বললেই চলে। এ কারণে অনেকে তরমুজ বেশি খেয়ে ফেলেন। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, তরমুজ বেশি খেলে কী হয়? কোনো খাবারই বেশি খাওয়া ঠিক নয়, তা যতই পুষ্টিকর হোক না কেন। তরমুজও এর ব্যতিক্রম নয়।
তরমুজের পুষ্টিগুণ
তরমুজ বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে ঠিকই কিন্তু এর গুণগুলো মোটেও ফেলনা নয়। তাই পরিমিত খেলেই মিলবে নানা উপকার।তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। ভিটামিন বি সিক্স, সি, এ সহ পটাশিয়ামের খনি এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ওজন কমাতে তরমুজ ভীষণ কার্যকরী। তবে তরমুজ বেশি খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তরমুজ বেশি খেলে কী হয়-
পেট ফাঁপা দেখা দিতে পারে
ধরুন আপনি দুপুরে পেট ভরে ভাত খেতে এর পরপরই খেলে এক থালা তরমুজ। বিকেল গড়াতেই আপনার পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিলো। এরকম হওয়ার কারণ হতে পারে তরমুজ। কারণ তরমুজে থাকে ফাইবার। যে কারণে এটি বেশি খেলে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়াসহ পেটের নানা সমস্যা। সেইসঙ্গে তরমুজে থাকা আরও কিছু উপাদান বদ হজম ও গ্যাসের কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস
যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ এই ফলে শর্করার মাত্রা থাকে যথেষ্ট বেশি। যে কারণে অতিরিক্ত তরমুজ খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। তরমুজে থাকা অক প্রকারের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ওভার হাইড্রেশন
তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি বেশি খেলে শরীরে পানির পরিমাণও বেড়ে যায়। পানি বেশি হয়ে গেলে তা ‘ওভার হাইড্রেশন’ এর সমস্যা তৈরি করে। যে কারণে এটি কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তারা তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে তা ওভার হাইড্রেশনের কারণ হতে পারে।
কতটুকু তরমুজ খাবেন
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্ক কারও জন্য দিনে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ হজম করা সম্ভব। প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ৬ গ্রাম ক্যালোরি থাকে বলে দাবি করছেন পুষ্টিবিদরা। যে কারণে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ শরীরের পক্ষে যথেষ্ট। দিনে এর বেশি না খাওয়াই ভালো।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)