বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ডিম খেতে কিন্তু প্রায় সবাই পছন্দ করেন। এটি এমন এক খাবার যা প্রায় প্রতিদিনই আমাদের খাবারের তালিকার সৌন্দর্য বাড়ায়। কিন্তু এই গরমে যখন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নানা নিয়ম-কানুন রক্ষা করতে হয়, এই সময়ে ডিম খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর? অনেকে মনে করেন গরমে ডিম খেলে তা পেট গরম করে দিতে পারে। আদৌ কি এর সত্যতা আছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ডিমে থাকে উচ্চমানের প্রোটিন এবং ভিটামিন, যে কারণে পুষ্টিবিদরা প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডিমে উচ্চ মানের প্রোটিন থাকার কারণেই অনেকের মনে হয়ে থাকে গরমে ডিম এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম শরীরে তাপমাত্রা বাড়াতে কাজ করে না। যে কারণে গরমেও প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়াই যায়। ডিম এমন একটি খাবার যা গরমের সময়েও খাওয়া যায় অনায়াসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমে থাকে প্রোটিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। এ ধরনের উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে নিয়মিত ডিম খেলে তা চোখের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। তবে গরমে যেহেতু ভাজাভুজি থেকে একটু দূরে থাকাই ভালো তাই ডিম ভাজা বা ডিপ ফ্রাই জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ডিম সেদ্ধ, পোচ ইত্যাদি খেতে পারেন কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই।
গরমের কারণে ডিম খেতে ইচ্ছা না করলে প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবে পাতে রাখতে পারেন মসুর ডাল, মটরশুটি, বাদাম অথবা বীজ উদ্ভিদ ভিত্তিক যেকোনো প্রোটিন। গরমের সময়ে রেড মিট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন। মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই পরিমিত।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরম বলেই যে ডিম খাওয়া বাদ দেবেন এমনটা চলবে না। কারণ আপনার শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও আপনার। তাই খাবার খাওয়ার দিকে নজর রাখতেই হবে। কেবল মনে হওয়ার কারণেই যেকোনো খাবার তালিকা থেকে বাদ দেবেন না। বরং কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে সরাসরি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিন। ডিম খেলে যদি কারও গ্যাসের সমস্যা হয় তবে একদিন পরপর ডিম খেতে পারেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)