শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আমাদের সারাদিনই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কাজের কারণে তাই মানসিক চাপ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই চাপ দীর্ঘদিন থাকলে একটা সময় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। তাই শুরুতেই সামলাতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন, মানসিক চাপ অস্বাভাবিক কিছু নয়। জীবনে এ ধরনের চাপ আসবেই। কিন্তু আপনাকে তা সামলেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপ সামলানোর সহজ কিছু উপায়-
মেডিটেশন
প্রতিদিন সকালে কয়েক মিনিট সময় মেডিটেশনে কাটানোর অভ্যাস করুন। এই অভ্যাস আপনাকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। প্রতিদিন সকালে এভাবে নিয়ম মেনে মেডিটেশন করলে তা আপনার মনকে শান্ত করবে। সেইসঙ্গে মুক্তি দেবে মানসিক অবসাদ থেকেও।
ব্যায়াম
ভাবছেন শরীরচর্চার সঙ্গে মনের কী সম্পর্ক? সম্পর্ক তো রয়েছেই। আমাদের শরীর কোনো কারণে অসুস্থ থাকলে কি মন ভালো থাকে? তাহলে শরীর ফুরফুরে থাকলে তার প্রভাবও তো মনে পড়ার কথা, তাই না? মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনাকে প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যায়ামের জন্য রাখতে হবে। সেজন্য প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টার মতো সময় ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি অথবা জগিং করার অভ্যাস করুন। এগুলো আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ফল, সবজি, দানা শস্য এবং ফ্যাটবিহীন প্রোটিনের খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর ফলে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে আসবে। প্রতিদিনের খাবার থেকে অতিরিক্ত লবণ, চিনি, ক্যাফেইন বাদ দিতে হবে। পুরোপুরি বাদ নয়, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খাবেন, এর বেশি নয়। কারণ এ ধরনের খাবার অতিরিক্ত খেলে তা রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
ডিপ ব্রেথ
এটি এক ধরনের নিঃশ্বাসের ব্যায়াম। প্রতিদিন এই ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন কিছুটা সময় গভীরভাবে প্রশ্বাস নিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত দশ মিনিট সময় এভাবে করলেই অনেকটা উপকার পাবেন। তাতে আপনার মানসিক চাপ তো কমবেই সেইসঙ্গে ফুসফুসও ভালো থাকবে।
ভালো ঘুমের অভ্যাস
আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনার প্রয়োজনীয় ঘুমের দিকে নজর দিন। এ বিষয়ে ছাড় দেবেন না। কারণ টানা কয়েক দিন ঘুম ভালো না হলেই আপনার শরীর ভেঙে পড়বে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করুন। আগেভাগে ঘুমাতে যান এবং খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)